জগন্নাথপুর এর কামারখাল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নষ্ট হচ্ছে ঔষধ সামগ্রী, নেই সেবাদানকারী

জগন্নাথপুর এর কামারখাল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নষ্ট হচ্ছে ঔষধ সামগ্রী, নেই সেবাদানকারী
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুর এর কামারখাল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে সেবাদনকারী সেবাদানকারী না থাকায় ভোগান্তির শিকার জনসাধারণ। নষ্ট হচ্ছে আলমারী ভর্তি ঔষধ সামগ্রী।
আজ ১০ ই ফেব্রুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার  সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলাধীন কামারখাল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি কলকলিয়া ইউনিয়ন এর শেষ পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় অত্র ইউনিয়ন এর গর্ভবতী মহিলা সহ রোগী সাধারন এই হাসপাতালে যেতে অনীহা রয়েছে। যার কারনে কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ  মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় রোগী সাধারন এর সুবিধার্থে বেশ কিছু দিন ধরে এই পরিষদ ভবনের দোতালায় পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রে ঝুমা রানী চৌধুরী  পরিবার কল্যাণ সহকারী পরিদর্শক এর দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তিনি দুয়েক মাস পরপর কেন্দ্রে এসে গর্ভবতী মহিলা সহ রোগী সাধারনকে সেবা প্রদান করতেন।বদলি জনিত কারণে ২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ঝুমা রানী চৌধুরী জামালগঞ্জ উপজেলায় চলে যাওয়ার পর এই কেন্দ্রে অতিরিক্ত দায়িত্ব পান জগন্নাথপুর উপজেলা সদর পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে কর্মরত সহকারী পরিদর্শক (FWV) চম্পা রানী তালুকদার। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে দীর্ঘ প্রায় এক বছর এর মধ্যে একটি ঘন্টার জন্যও চম্পা রানী তালুকদার কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে আসেননি। যার ফলশ্রুতিতে এই কেন্দ্রের আলমারীতে থাকা ঔষধ সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ এর আশপাশ তথা ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছুটে আসা গর্ভবতী মহিলা সহ রোগী সাধারন সেবাদনকারী না পেয়ে সেবা বঞ্চিত হয়ে হতাশ হৃদয়ে বাড়ী ফিরে যেতে হচ্ছে। যদিও কামারখাল উপ-স্বাস্থ কেন্দ্রের  সহকারী পরিদর্শক রুপক রাজ বৈদ্য এ কেন্দ্রটি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন খুলে বসেন।চাবি না থাকায় আলমারী খুলতে পারছেননা রুপক রাজ বৈদ্য।
এই কেন্দ্রে  সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী গর্ভবতী মহিলা রিমা রানী, চামেলী বেগম ও ফুলমালা বিবি সহ একাধিক রোগী একান্ত আলাপকালে বলেন, শারীরিক অসুস্থার মধ্যে  আজ নিয়ে ৪ দিন সেবা নিতে এসেও কোন সেবাদানকারী না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। অর্থাভাবে উপজেলা সদরেও যেতে পারছিনা। এছাড়াও আরো অনেকে বলেন, এই কেন্দ্রটি নামে আছে কাজে নাই। রোগী সাধারন প্রতিনিয়ত সেবা ছাড়াই ফিরে যাচ্ছেন। জনস্বার্থে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্ট কামনা করছি।
এবিষয়ে জানতে চম্পা রানী তালুকদার এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে জানতে মুঠোফোনে আলাপকালে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, পরিবার কল্যাণ সহকারী পরিদর্শক  চম্পা রানী তালুকদার উপজেলা সদর ক্লিনিকের মূল দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে কলকলিয়া ও হলদিপুরে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদরে রেগীর ভিষন ভীর। সম্ভবত এ কারনে যাওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি দেখছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জনবল সংকটের কারনে সমস্যা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসের শুরু থেকে মাসে অন্তত দু’দিন পরিবার কল্যান সহকারী কলকলিয়া যাতে সেবা দান করেন সেই ব্যবস্থা করব।

আপনি আরও পড়তে পারেন